তোমার জন্য ইদানিং বুকের ভেতর যে অনুভুতি উথলে ওঠে আমার,
সেই অনুভুতির সাথে এই পৃথিবীর কিছু জিনিসের ভীষন মিল পাই আমি
যেন আমার হেসেলের ভাতের মাড় উথলালো এবং পড়ি পড়ি-
তড়িঘড়ি জ্বাল কমিয়ে না দিলেই বিপদ,
ভেসে যাবে চারপাশ, আবার সামলাও, মুছে ফেলো, সে বড্ড ঝঞ্ঝাট!
তোমার কথা মনে পড়লেই যেন,
ট্যাপের নীচে ছেড়ে রাখা একটা পানির জাগ কিংবা মাগ
অথবা একটা বালতিই যেন জল ছুঁইছুঁই কানায় কানায়
এখুনি উপচে পড়বে, শুকনো তকতকে মেঝে
ভেসে হবে ছারখার, বিড়ম্বনার শেষ নেই।
তোমার কথা ভাবলেই হৃদয় কুঠুরে বেঁজে ওঠে আজকাল,
একটাই রবীন্দ্র সঙ্গীত-
আমার জীবনপাত্র উচ্ছলিয়া মাধুরী করেছো দান
তুমি জানো নাই তুমি জানো নাই সেই মূল্যের পরিমান।
মন খারাপের বিষন্নতা এবং এক অদ্ভুৎ আছন্নতা।
তোমার নামটাই যেন একটা দীর্ঘশ্বাস!
অথবা কোনো বলি, হ্যাঁ জীবন্ত বলি-
বলিকাঁঠে শুয়ে থাকা হরিনীর আর্তনাদ।
এখন বর্ষা- চারিধারে জলের মূর্ছনা গান
মেঘ তোমার ভীষন প্রিয় ছিলো
আর আমার খটখটে রোদ্দুর।
চারিদিকে ঝাঁ চকচক জীবনের গান।
কোনো কাঁদামাটির ছোঁয়াই নেই কোথাও,
তুমি বলেছিলে আমি হাঁস, রাজহংসিনী আমি
পাঁকে নামলেও ঝাঁড়া দিয়ে ফের ধবধবে সফেদ
আর তুমি মেঘ-
ভিজিয়ে দাও চারধার অথবা ভাসাও বানে।
বর্ষা হয়ে আজও ঝরো হৃদয়ে আমার
আমার চোখ ভিজে যায় জলে।
ভিজে যায় পুড়ে অঙ্গার হওয়া মন।
নীল শাড়ী, নীল চুড়ি, নীল টিপ
সব ভিজে হয় ফিকে
শুধু ভেজে না আমার সেই নীল ফিতে বাঁধা,
কিশোরী বিনুনীদুটি...
আমি যখন কারো কবিতা পড়ি। কবিতার অন্তর্নিহিত মর্ম খুঁজে বের করার চেষ্টা করি বা আমার মত করে ভেবে নেই। আচ্ছা আমার এই এন্টার চাপা কবিতা পড়ে কার কি মনে হলো? মানে কবিতার পিছের ছবিতাটা? জানতে বড় ইচ্ছে করে .....
শুধু চাঁদগাজী ভাইয়া যেন বলবে না তার কি মনে হয়। আমি তার মনে হওয়া শুনতেই চাইনা। নিজে নিজে মনে মনে যা খুশি ভেবে নিক।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৬